আজকের সুবিশাল মহাসাগর একসময় ছিল না। শুষ্ক, উত্তপ্ত পৃথিবীর বুকে জল ছিল ক্ষীণ। তবে কোটি কোটি বছরের প্রাকৃতিক অভিযাত্রায় ধীরে ধীরে গড়ে উঠেছে এই নীল বিশালতা, যা আজ আমাদের জলবায়ু, আবহাওয়া, এবং জীবনের অস্তিত্বকে নির্ধারণ করছে।
মহাসাগর—পৃথিবীর ৭০ শতাংশ জুড়ে থাকা এই বিস্তৃত জলরাশি কেবল নৌচলাচল বা সৌন্দর্যের উৎস নয়, বরং আমাদের অস্তিত্বের অন্যতম ভিত্তি। কিন্তু কিভাবে এই জলরাশি তৈরি হলো? বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবী যখন সবে গঠিত হচ্ছিল, তখন তা ছিল এক উত্তপ্ত, অগ্নিগর্ভ গ্রহ। ধীরে ধীরে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমতে থাকে, এবং আদি বায়ুমণ্ডল তৈরি হয়।
সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
প্রথম থিওরি অনুযায়ী, পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মাধ্যমে পানি-বাষ্প নির্গত হয়। হাজার হাজার বছর ধরে এই বাষ্প ঠান্ডা হয়ে জলীয় আকারে পৃথিবীর পৃষ্ঠে জমা হতে থাকে, আর তৈরি হয় প্রাথমিক সমুদ্র।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় একটি মতবাদ বলে—পৃথিবীতে পানি এসেছে মহাজাগতিক উল্কা ও ধূমকেতুর মাধ্যমে। এই মহাজাগতিক বস্তুগুলোতে থাকা বরফ পৃথিবীতে আঘাত হানলে পানি উৎপন্ন হয়। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত হলো, উভয় কারণেই পৃথিবীতে পানি এসেছে।
সীমান্তে সেনা প্রত্যাহারে ভারত-পাকিস্তানের ঐকমত্য, কার্যকর হবে ৩০ মে’র মধ্যে
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ৪.৪ বিলিয়ন বছর আগে প্রথম সমুদ্রের অস্তিত্ব পাওয়া যেতে পারে। সেই সময় সূর্যের আলো দুর্বল ছিল, কিন্তু গ্রহের অভ্যন্তরীণ উত্তাপ ও বায়ুমণ্ডলীয় কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব পৃথিবীকে উষ্ণ রাখে এবং জলকে তরল অবস্থায় রাখে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারহানা হক বলেন, “মহাসাগরের উৎপত্তি শুধু ভূতত্ত্ব নয়, জীবনেরও উৎস। এখান থেকেই প্রাণের উৎপত্তির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।”
Leave a Reply