বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
পাইরেসির শিকার ‘তাণ্ডব’:বিপাকে শাকিব খানের আলোচিত সিনেমা
শনিবার (১৪ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ এবং মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এই প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসন এবং একটি গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তুলতে যেকোনো গঠনমূলক সংলাপ ও আলোচনা অত্যন্ত জরুরি ও সময়োপযোগী। এই প্রেক্ষিতে তারেক রহমান ও ড. ইউনূসের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় নির্বাচনকালীন প্রক্রিয়া, বিচারিক অগ্রগতি এবং কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিয়ে যে মতবিনিময় হয়েছে, তা নীতিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।”
তারা জানান, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে প্রধান উপদেষ্টা যখন সম্ভাব্য নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করেছিলেন, তখনও খেলাফত মজলিস তা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছিল। তবে সংগঠনের প্রাথমিক অবস্থান ছিল—যদি প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়, তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াই অধিকতর বাস্তবসম্মত হবে।
তারা আরও বলেন, “গতকালের (১৩ জুন) আলোচনায় তারেক রহমানের পক্ষ থেকেও অনুরূপ প্রস্তাব উপস্থাপন করা এবং প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারির সম্ভাবনা উন্মুক্ত রাখা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা উচিত।”
তবে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “একটি নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দায়িত্ব সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি সমান আচরণ নিশ্চিত করা। একক কোনো দলের নেতার সঙ্গে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা তার নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং অন্য দলগুলোর মাঝে বৈষম্যের বার্তা দিতে পারে।”
গাজীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত গার্মেন্টসকর্মী ইমরান মারা গেছেন
বিবৃতির শেষে তিন নেতা আশা প্রকাশ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে আরও সতর্ক, ভারসাম্যপূর্ণ ও জাতিগত ঐক্যের ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যাতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে ওঠে।
তারা বলেন, “আল্লাহ আমাদের রাষ্ট্র ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।”
Leave a Reply