ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েনি, তবুও প্রশাসন বলছে, প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফু্দ্দিন আহমেদ বলেন, “সাংবাদিকদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী কোনো অফিসিয়াল কাজে যায়নি। ব্যক্তি পর্যায়ে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে মধ্যস্থতা করতে পারে। সাংবাদিকরা চাইলে তারা আইনিভাবে ব্যবস্থা নিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ সীমিত।”
জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দেবাশীষ পাল বলেন, “এ বিষয়ে বিস্তারিত আমার জানা নেই। তবে প্রক্টর অফিস থেকে লিখিতভাবে জানানো হলে, অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রাতুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এখানে কোনো হেনস্তার ঘটনা ঘটেনি। ওই সময় কিছু লোক লুকিয়ে ভিডিও করছিলেন। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা সাংবাদিক পরিচয় দেন। আমরা শুধু ভিডিও ডিলিট করতে বলেছিলাম, কোনো শারীরিক আঘাত করা হয়নি।”
তবে রাতুলের অতীত ঘিরেও বিতর্ক রয়েছে। জানা গেছে, ২০২১ সালের ৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় গাঁজা সেবনের সময় রাতুলসহ তিনজনকে আটক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন আরাফাত আহমেদ সাদ নামে এক বহিরাগত এবং অপরজন ইডেন কলেজের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসপিয়া আক্তার। আটককৃতদের পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন, “এমন ঘটনা বারবার ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। প্রশাসনের উচিত এসব বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।”
ঘটনার তদন্ত এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য এখন প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
Leave a Reply