বরিশালে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১২ শীর্ষ নেতার পদ আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মেঘনা নদীর বালুমহাল ইজারা নিয়ে সংঘটিত একটি ঘটনায় সেনাসদস্য অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী অভিযুক্তদের এ সংক্রান্ত চিঠি দেন।
জানা গেছে, গত ২৭ মার্চ বরিশালে ছয়টি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়। হিজলা উপজেলার মেঘনার বালুমহাল ইজারা পেতে বিএনপি নেতারা গোপনে দরপত্র প্রস্তুত করছিলেন। কিন্তু স্থানীয় এক ব্যক্তি কাজী আব্দুল মতিন তাদের এড়িয়ে দরপত্র জমা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপি নেতারা মতিনের ভাতিজা, সেনাসদস্য জাফরকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মারধর করে একটি রেস্ট হাউসে আটক করেন। পরে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
ঠাকুরগাঁওয়ে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর বিএনপি ১২ নেতার পদ স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন:
হিজলা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট দেওয়ান মো. মনির হোসেন
মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাকসুদুর রহমান মাসুদ
মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম
জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি নুর হোসেন সুজন
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠু
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মশিউল রহমান মঞ্জু ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নিজাম
কামরুল ইসলাম
হিজলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ইমরান খন্দকার
মহানগর যুবদলের সহসম্পাদক বেলায়েত হোসেন, রুবেল ও ফাহিম
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান জানান, “তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পদস্থ নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে অনেকেই দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় লঘু শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
Leave a Reply