সরকার পতনের মাত্র একদিন আগে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিকটাত্মীয়দের দ্দেশে একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠান—যা ছিল দেশ ছাড়ার নির্দেশ। বিষয়টি সম্প্রতি এক প্রবাসী আত্মীয় ঘনিষ্ঠজনদের কাছে প্রকাশ করেছেন।
রাজবাড়ীর কালুখালীতে চন্দনা নদী থেকে অটোচালকের মরদেহ উদ্ধার
জানা যায়, শেখ হাসিনার এক আত্মীয়, যিনি বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফুর রহমানের বংশধর এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা ছিলেন, তিনি শেখ হাসিনার নির্দেশ পাওয়ার পরপরই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় নেন। সূত্র জানায়, কারফিউ চলাকালে মোবাইল ফোনে পাঠানো নির্দেশনাতেই তারা দেশত্যাগ করেন।
ওই আত্মীয়ের দাবি, শেখ হাসিনা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের উদ্দেশে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠান, যেখানে লেখা ছিল: “No one stay here”। এতে দেশত্যাগের গুরুত্ব স্পষ্ট হয় এবং সংশ্লিষ্ট সবাই দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতা-কর্মীদের প্রতি এ ধরনের কোনো বার্তা পাঠানো হয়নি। আত্মীয়দের নিরাপদে বিদেশে পাঠানোর পর শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারত চলে যান। পরে শেখ রেহানা লন্ডনে যান।
বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। হত্যাকাণ্ড, গুম, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে দলের বহু প্রভাবশালী নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য কারাবন্দি। শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং প্রতিবেশী ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কেবল একজনের গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে—সেরনিয়াবাত মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ। তিনি সাবেক চিফ হুইপ ও শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর পুত্র। ২০২৪ সালের অক্টোবরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরছে ‘পয়েন্ট অব অর্ডার’,রাজনীতির মুখোমুখি হবেন আবারও কাজী জেসিন
ওই প্রবাসী আত্মীয় জানান, ৩ আগস্ট বিকেলেই শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন পরিস্থিতি আর নিয়ন্ত্রণে নেই। তিনি তখন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে দেশত্যাগের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন এবং বার্তাটি দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
Leave a Reply