প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা যদি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত না হয়, তাহলে তারা নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারবে না। সমাজে অর্থবহ পরিবর্তন আনতে ও নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে তরুণদের রাজনীতিতে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়া জরুরি।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিআইএ থেকে ১২০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা ট্রাম্প প্রশাসনের
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা প্রতিনিধি দলটির রাজনৈতিক পটভূমি, উদ্দেশ্য ও কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে চান। পাশাপাশি তিনি নরওয়ের মূলধারার রাজনীতিতে তরুণদের অংশগ্রহণের হার সম্পর্কেও খোঁজ নেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, অনেক বাংলাদেশি তরুণ রয়েছেন যারা এখনো জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেননি। তারা প্রশ্ন তোলেন—তরুণদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকার কী ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে।
জবাবে ড. ইউনূস বলেন, কাঠামোগত সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের মূল অঙ্গীকার। গত ১৫ বছরে জনগণ প্রকৃত অর্থে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তিনটি পরপর ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। যদিও কর্তৃপক্ষ এসব নির্বাচনকে সফল বলে দাবি করেছে, বাস্তবে মানুষের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এ অবস্থার পরিবর্তনে নির্বাচনসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ বর্তমানে ‘সেকেলে’ এবং ‘উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া বিশৃঙ্খলা’ এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি কার্যকর ও গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি। তবে এই রূপান্তরের প্রক্রিয়া যেন দীর্ঘায়িত না হয়, সেদিকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
নরওয়ের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দেশটির সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ লিগের উপনেত্রী নজমা আহমেদ, এইউএফের আন্তর্জাতিক নেতা ফাওজি ওয়ারসামে, সেন্টার পার্টির ডেন স্কোফটারুড, কনজারভেটিভ পার্টির ওলা স্ভেনেবি, খ্রিস্টীয় গণতান্ত্রিক দলের হাডলে রাসমুস বিজুল্যান্ড, গ্রিন ইউথের টোবিয়াস স্টক্কেল্যান্ড এবং ইনলানদেত অঞ্চলের ইয়ং লিবারেলসের সাবেক নেত্রী থাইরা হাকনস্লোকেন।
Leave a Reply