ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতি সরাসরি বিশ্বাসঘাতকতা। জর্ডানের সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে জার্মান রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, “তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শান্তিপূর্ণ চুক্তির দিকেই অগ্রসর হওয়া হচ্ছিল। এমন সময় ইসরায়েলের এই হামলা কূটনীতির ওপর সরাসরি আঘাত।”
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “১৫ জুন শান্তিপূর্ণ আলোচনার প্রস্তুতি চলার মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ ব্যবস্থার ওপর নজিরবিহীন আঘাত।”
এদিকে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা জবাবে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকায় গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তীব্র হয়ে উঠেছে।
এ প্রেক্ষাপটে, ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনায় যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়াবে কি না, সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্পের এই সময় নেওয়ার সিদ্ধান্তে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ-এর বিশ্লেষক গিডিয়ন লেভি আলজাজিরা-কে বলেন, “দুই সপ্তাহ অনেক দীর্ঘ সময়। যদি ট্রাম্প সত্যিই অপেক্ষা করতে চান এবং এটি কোনো রাজনৈতিক কৌশল না হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের সম্ভাবনা কমে আসছে।”
গলে জয়ের স্বপ্নে উজ্জ্বল নাঈম, বললেন: “এখন জয়ই একমাত্র লক্ষ্য”
তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংস করতেও সক্ষম হয়, তবুও ইরান পুনরায় নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারবে। ফলে দীর্ঘমেয়াদে নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। গাজা ইস্যুসহ আরও অনেক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এখনো বহাল রয়েছে।”
Leave a Reply